সঞ্চয়ের টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন?

সকলেরই সাধ্য অনুযায়ী সঞ্চয় করা উচিত। কিছু অর্থ সঞ্চিত হয়ে গেলে আবার অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান ওই কোথায় বিনিয়োগ করবেন। অনেকেই বেশি মুনাফার লোভে বিভিন্ন কো -অপারেটিভ সোসাইটি বা পিরামিড স্কিম (যেমন: ডেসটিনি/ইউনিপে) এর ফাঁদে পড়ে ক্ষতির শিকার হন। এই লেখার উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশে অর্থ বিনিয়োগের নিরাপদ খাতগুলো সম্পর্কে আপনাকে জানানো।

সঞ্চয়পত্র : বিনিয়োগের একটি নিরাপদ জায়গা হচ্ছে সঞ্চয়পত্র। সঞ্চয়পত্র মূলত বাংলাদেশ সরকারের এক ধরনের ঋণপত্র। এই ঋণপত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছ থেকে সরকার টাকা ধার নেয়। আর তার বিপরীতে সঞ্চয়পত্রের মালিককে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট হারে সুদ। মেয়াদ শেষে ফেরত পাওয়া যায় আসল টাকা।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত সকল তথ্য দেওয়া রয়েছে। বর্তমানে কয়েক ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়ছে। এগুলোর সুদের হার পৌনে ১১ থেকে সাড়ে ১১ শতাংশ পর্যন্ত।সঞ্চয়পত্রের স্কিমগুলো হচ্ছে-

পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র

পরিবার সঞ্চয়পত্র

পেনশনার সঞ্চয়পত্র

সঞ্চয়পত্র কিনলে আরেকটা সুবিধা হলো আপনি এর মাধ্যমে ট্যাক্স-রিবেট পেতে পারবেন। ব্যাংক থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। এছাড়া ডাকঘর অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও তা কেনা যায়।

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক: আপনি যে কোনো পোস্টঅফিস/ডাকঘরে সঞ্চয় ব্যাংক একাউন্ট খুলে বিভিন্ন স্কিম এ সঞ্চয়ের সুবিধা নিতে পারেন। স্কিম গুলো হলো :

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের-সাধারণ হিসাব

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক-মেয়াদী হিসাব

ব্যাংকে মেয়াদী আমানত: সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে মেয়াদী আমানত (Fixed Deposit Receipt-FDR) হিসেবেও টাকা জমা রাখা যায়। ব্যাংক ও মেয়াদ ভেদে এফডিআরের সুদ হার ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

মিউচুয়াল ফান্ড: অনেকে হয়তো আপনাকে বলবে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে। কিন্তু আপনার যদি স্টক মার্কেট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকে অথবা আপনি যদি না বোঝেন কোন শেয়ার কেনায় কমেন ঝুঁকি তাহলে আপনার কখনোই অন্যের কথা শুনে স্টক মার্কেটে সরাসরি বিনিয়োগ করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে আপনি মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারেন।