কার্ডে অনলাইন কেনাকাটায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা করবেন

কেনাকাটা থেকে কাজকারবার— সব কিছুই যত বেশি করে অনলাইন-মুখী হচ্ছে, এই মাধ্যমে জালিয়াতির পরিমাণও বাড়ছে। কী করে বিপদ এড়াবেন?
খাবার, আসবাব, জামাকাপড় থেকে বই— সব কিছুই এখন অনলাইনে কেনা যায়। তাছাড়া বিদ্যুতের বিল, ফোনের বিল, ট্রেন বা প্লেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্টও আছে। এসব সময়ে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন কি? তাহলে সাবধান হওয়া উচিত। কারণ যে কোনও সময়ে আপনিও জালিয়াতির শিকার হতে পারেন।

অনলাইনে কেনাকাটা বা বিল মেটানোর সময়ে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড? জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেন বিশষজ্ঞরা। কয়েকটি কাজ কোনও ভাবেই করবেন কার্ড ব্যবহার করার সময়ে। সেগুলো কী কী? রইল তালিকা।

একাধিক অ্যাকাউন্ট নয়: অনলাইনে যে ডেবিট কার্ডটি ব্যবহার করছেন, শুধুমাত্র সেই কার্ডটিই সব সময় ব্যবহার করুন। এবং কার্ডটি যে অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত তাতে খুব বেশি টাকাও রাখবেন না। ওই একটি অ্যাকাউন্ট থেকেই অনলাইনে সব টাকা দেওয়া হবে। তাহলে খুব বেশি টাকা চুরি যাওয়ার আশঙ্কা কমবে।
URL-এ ইংরেজির s অক্ষর না থাকলে কার্ড ব্যবহার করবেন না: যে ওয়েবসাইটে কার্ড ব্যবহার করছেন, তার URL-এর শুরুটা লক্ষ্য করুন। সেটি কি https দিয়ে শুরু হচ্ছে? নাকি শুধু http? মনে রাখবেন ওই অতিরিক্ত ‘s’-টুকুই আপনার কার্ডের নিরাপত্তা অনেকখানি বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধু http থাকা ওয়েবসাইট থেকে কিছু কিনবেন না।
অচেনা ওয়েবসাইট থেকে নয়: একেবারে অচেনা ওয়েবসাইট থেকে কিছু কেনার আগে সতর্ক হন। যদি সেখানে কার্ড ব্যবহার না করে ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা থাকে, সেটাই ব্যবহার করুন। বহু দিন ধরে যে ওয়েবসাইটগুলি থেকে জিনিসপত্র কিনছেন, সেখানে কিছু কেনার আগেও সতর্ক থাকুন।
অন্য কারও যন্ত্র ব্যবহার নয়: নিজের কার্ড সব সময়ে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার থেকেই ব্যবাহর করুন। অন্য কারও, বিশেষ করে অচেনা কারও যন্ত্র ব্যবহার করবেন না। সেই যন্ত্রে আপনার কার্ডের নম্বর থেকে যেতে পারে। তাতে বিপদ বাড়তে পারে।
অচেনা ওয়াইফাই নয়: অচেনা কারও ফোন বা কম্পিউটার থেকে যেমন নিজের কার্ড দিয়ে কিছু কিনবেন না, তেমনই অচেনা ওয়াইফাই বা হটস্পট ব্যবহার করেও কার্ড দিয়ে কিছু কিনবেন না। সেক্ষেত্রেও কার্ডের অপব্যবহার হতে পারে।
সহজ সরল পাসওয়ার্ড নয়: অনেকেই সহজে মনে রাখার জন্য ১-২-৩-৪ বা নিজের নাম বা জন্মসাল কার্ডের পাসওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার করেন। এতে কার্ডের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছোটহাত, বড়হাতের অক্ষর, সংখ্যা, @-এর মতো স্পেশাল ক্যারেকটর ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। তাতে জালিয়াতির আশঙ্কা কমবে।