পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র

বিভিন্ন মেয়াদী জাতীয় সঞ্চয়পত্র অর্থ সঞ্চয়ের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। সরকারি আদেশক্রমে সুদের হারের হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে।

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সুদহার টাকার পরিমানের উপর নির্ভর করে এই যেমন ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।কিন্তু তার উর্ধে, ১৫ লাখ ১ টাকা হতে ত্রিশ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ, ৩০ লাখ ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে সুদহার ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।

তবে মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙালে ১৫ লাখ পর্যন্ত টাকার সুদ ১ম বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৫, ২য় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮০, ৩য় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ এবং ৪র্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ১৫ লাখ ১ টাকা হতে ত্রিশ লাখ পর্যন্ত টাকার সুদ ১ম বছর শেষে ৮ দশমিক ৫৪, ২য় বছর শেষে ৮ দশমিক ৯৫, ৩য় বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৬ এবং ৪র্থ বছর শেষে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। ৩০ লাখ ১ টাকা হতে তদূর্ধ্ব পর্যন্ত টাকার সুদ ১ম বছর শেষে ৭ দশমিক ৭১, ২য় বছর শেষে ৮ দশমিক ০৮, ৩য় বছর শেষে ৮ দশমিক ৪৫ এবং ৪র্থ বছর শেষে ০৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

এ সঞ্চয়পত্রেও ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের বিপরীতে সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ, এর বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদের ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ।

সকল শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন। ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক নামে ৩০ লাখ অথবা যুগ্ম-নামে ৬০ লাখ পর্যন্ত টাকা রাখা যাবে তার অধিক নয়। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা নেই।

সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের আরো সুবিধা সমূহ হলো নমিনী নিয়োগ করা যায় এবং সঞ্চয়পত্রের ক্রেতার মৃত্যুর পর নমিনী সাথে সাথেই অথবা মেয়াদ উত্তীর্ণের পর সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করে নিতে পারেন।

পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রটি জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরো, বাংলাদেশ ব্যাংক শাখাসমূহ, তফসিলি ব্যাংকসমূহ এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় ও নগদায়ন করা যায়।