বীমা সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে গবাদি পশু

শুধু মানুষ নয় বীমার আওতায় এখন পশুও। যারা পশু পালন করে এবং তার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের জন্য আনা হলো খুব  ভালো একটি খবর। এবার বীমা সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে গরু, ছাগল ও মহিষ। বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বীমাটি চালু হবে প্রাণিজসম্পদ বীমা নামে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর গবাদিপশুর বীমা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. আইনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের দেশের কৃষক অনেক সময় পশুর মৃত্যুজনিত কারণে সমস্ত মূলধন হারিয়ে ফেলেন। ইচ্ছা থাকলেও অনেক কৃষক পশু পালনের মতো ব্যবসায় আর আসতে চান না। বীমা সুবিধা দিলে অনেকেই এ ব্যবসায় উৎসাহী হবেন। তখন দেশে মাংসের উৎপাদনও বাড়বে।

কিছু নিয়ম মেনে পশুপালনকারী বীমার আওতায় আসবে। তারপর নিশ্চিন্তে পশু পালন করতে পারবে তাই নিজের মূলধন ব্যবহার করে পশু পালন করার পরও যদি কোনো কিছু হয় বীমার তাহলে নিয়ন অনুযায়ী বীমা কোম্পানী দেখবে।

বীমাটির আওতায় আসা প্রতিটি পশুকে আলাদা পরিচিতি নম্বর দেয়া হবে। এসব পশুর স্বাস্থ্য, চিকিৎসা ও পুষ্টির দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার প্রাণিজসম্পদের উন্নয়নে কৃষকদের নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে আসছে। এবার যেহেতু পশুসম্পদ বীমার আওতায় এসেছে সেহেতু কৃষকের সাহস আরও বাড়বে এবং দেশে দ্রুত আমিষের চাহিদা পূরণ করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে কৃষক।

ডেইরি পণ্যের বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৪ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে। এর মধ্যে ১২ কোটি ডলার ব্যয় করে গড়ে তোলা হবে ডেইরি শিল্পবান্ধব অবকাঠামো। খামার এলাকায় ডেইরি খাদ্য সরবরাহ ও খামার থেকে বাজার পর্যন্ত পণ্য পরিবহনে প্রয়োজনীয় রাস্তা গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থাপন করা হবে কসাইখানা। প্রকল্পটির আওতায় ডেইরি খাতের ঝুঁকি কমাতে প্রায় ১৪ কোটি ডলার ব্যয় করার প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এর আওতায় প্রাণিজসম্পদ অধিদফতরের সক্ষমতা বাড়াতে পাঁচ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া প্রাণিজসম্পদের জন্য বীমা ব্যবস্থা প্রণয়নে ব্যয় করা হবে আরও পাঁচ কোটি ডলার।

এইচএআই