ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতেও সুযোগ সুবিধা দেখে নেওয়া উচিৎ

বেশ কয়েক বছর আগেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে তেমন কিছু দেখতে হতো না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে সব ক্ষেত্রেই অনেক কিছু ভেবে চলতে হয় তাই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলার ক্ষেত্রেও সুযোগ সুবিধা দেখে নেওয়া উচিৎ। কোন ব্যাংকে টাকা রাখবেন, তা বুঝতেও খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে হয় সুযোগ সুবিধার পরিধি।
প্রথমেই দেখে নিতে পারেন সুদের হার। সেভিংস অ্যাকাউন্টে সব ব্যাংকেই অন্য বিভিন্ন তহবিলের তুলনায় সবচেয়ে কম সুদ দিয়ে থাকে। কিন্তু আগের মতো এখন সব ব্যাংকে একই রকম হারে সুদ পাওয়া যায় না। তাই নজর রাখতে হবে কোন ব্যাংকে সুদের হার কত, তার উপরে।
• সরকারি ব্যাংকে বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম টাকা রাখার শর্তে অনেক সুবিধা থাকে। হয়ত পাঁচশো থেকে হাজার টাকার মধ্যেই থাকে। সেখানে বেসরকারি ব্যাংকে সাধারণ ভাবে বেশ বড় অঙ্কের টাকা নিয়মিত রাখতেই হয়। কিন্তু সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক যা-ই হোক না কেনো, গড় ন্যূনতম টাকা না রাখলে আপনাকে খেসারত দিতে হবে। আর তা বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন রকম। তাই শুধু ন্যূনতম ব্যালান্সের শর্ত দেখেই অ্যাকাউন্ট খুলবেন না সাথে দেখে নিতে হবে মাসুল গোনা পরিধিটাও।

• এখন ব্যাংক হাতের মুঠোয়। তবে এখনও সব কাজ আপনি ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে করে উঠতে পারবেন না। তাই ব্যাংক খোঁজার সময়ে দেখে নিন আপনার কাছকাছি কোন কোন ব্যাংকের শাখা আছে,যেখানে আপনি সহজেই যেতে পারবেন।
• কিছু কিছু ব্যাংক কিন্তু আপনাকে এসএমএসে লেনদেনের খবর পাঠাতে আলাদা করে টাকা কাটে। চেকবুকের জন্যও টাকা দিতে হয়। তুলনা করে দেখে নিন কোন ব্যাংকে এই সব বাবদ খরচ কম।
• ডেবিট কার্ড তো নিতে হবে। কিন্তু সেই ডেবিট কার্ডের উপরও নানা খরচ আছে। আবার কোনও কোনও ব্যাংক এই কার্ড ব্যবহার করলে পয়েন্ট দেয়, যা ভাঙিয়ে নেওয়া যায়। এই সুবিধাও দেখে নিতে ভুলবেন না।
• কোনও কোনও ব্যাংক প্রয়োজনে বাড়িতেও কর্মী পাঠিয়ে দেয় আপনার কাজ করে দিতে। এই সুবিধাটিও মাথায় রাখতে ভুলবেন না।
• সুবিধার তালিকা করুন। প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকে আলাদা আলাদা সুবিধার ব্যবস্থা রেখেছে। দেখে নিন কোন ব্যাংক আপনাকে এ ব্যাপারে কী সুবিধা দিচ্ছে। মনে রাখবেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আপনার পক্ষে নিয়মিত ব্যাংকের শাখায় গিয়ে কাজ সেরে আসা সম্ভব না-ও হতে পারে। তাই প্রত্যক্ষ পরিষেবা পাওয়াটা খুবই জরুরি।

এইচএআই