কেমন নিয়ম মেনে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে বিনিয়োগ করবেন

ঝুকি এরানোর জন্য সাধারন মানুষ সরকারি খাতে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অধীনে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে টাকা সঞ্চয় করে থাকে। এখানে মানুষ নিশ্চিন্তে নিজের সঞ্চয় বিনিয়োগ করে থাকেন। যে কোনো  শ্রেণী ও পেশার নাগরিক বিনিয়োগ করতে পারবেন। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে দুই ধরনের বিনিয়োগ করে থাকে। একটি হলো সাধারন হিসাব অপরটি হলো মেয়াদী হিসাব। যে কোনো হিসাবে একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ  করা যায়। এসব হিসাবে নমিনি নিয়োগ করে যেমন উত্তরাধিকারী নিয়োগ করা যায়,তেমনি হিসাবের মেয়াদকালীন যে কোনো সময় নমিনি পরিবর্তন করা যায়।

সাধারণ হিসাব : সাধারণ হিসাবে টাকা যে কোনো সময় জমা রাখা যায়। তবে টাকা জমার পরিমাণ নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখতে হবে। এ হিসাবে বিনিয়োগ করলে এক মাসেও মুনাফা দেয়া হয়। সব শ্রেণি ও  পেশার পাশাপাশি এমনকি নাবালকের নামেও এ ধরনের হিসাব খুলে বিনিয়োগ করা যায়। মুনাফার হার গড়ে ৫ শতাংশ।

মেয়াদি হিসাব : ৩ বছর মেয়াদি বিনিয়োগ হিসাব সব শ্রেণিও পেশার নাগরিকের নামে খোলা যায়। এতে স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যায়। এতে মুনাফার হার প্রথম বছরে ৫ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরে সাড়ে ৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৬ শতাংশ মুনাফা দেয়া হয়। ৬ মাস পর পর মুনাফা উতোলনের সুযোগ রয়েছে। ৬ মাস পর পর মুনাফা তুললে প্রথম বছরে ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে সাড়ে ৪ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ৫ শতাংশ হারে মুনাফা প্রদান করা হয়।

কোথায় পাওয়া যায় : এ হিসাব শুধু ডাকঘরগুলোতে পরিচালিত হয়। জেলা ও থানা সদরের সব উপজেলার ডাকঘরে এ হিসাব পরিচালিত হয়। মেয়াদ শেষে গ্রাহক টাকাও তুলতে পারেন। তবে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর কেটে রাখা হয়।

ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবগুলোতে আগে মুনাফার হার ছিল প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ। সম্প্রতি এ হার কমানো হয়েছে। তবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, বিষয়টি সরকার পুনর্বিবেচনা করছে। সাধারণ সঞ্চয়কারীদের যাতে কোনো কষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে।