‘ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং’। এই শব্দবন্ধ শুনলেই সাধারণ মানুষ ‘বিরাট কিছু করতে হবে তা না হলে প্ল্যানিং কার্যত অসম্ভব’ এমন কিছুই ভেবে ফেলে। না, সেইসব সাধারন মানুষের আশ্বস্তের বিষয় হচ্ছে, সামান্য কিছু চিন্তা-ভাবনা করলেই অনেকটা এগিয়ে যাওয়া যায়, অন্ততপক্ষে “গোল সেটিং”-এর মতো সোজা-সাপ্টা বিষয়গুলি ঠিকভাবে করা যায়।
কীভাবে প্রাথমিক পদক্ষেপ করবেন?
ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যান একটি পূর্ণ পর্যবেক্ষণ । আপনার সমস্ত ধরনের সম্পদ, প্রয়োজনের খতিয়ান যা আছে তা কেবল আপনারই, অন্যেরর নয়। আপনার যা আছে তার ভিত্তিতে লক্ষ্যবস্তু স্থির করার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।
লক্ষ্যবস্তু তো অনেক ধরনেরই হতে পারে। তবে সাধারণভাবে ধরলে বাচ্চাদের পড়াশোনা বা নিজের অবসরের কথা ভেবে প্ল্যান, এগুলিই মানুষের প্রধান লক্ষ্য হয়ে থাকে। কোনও আর্থিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই সমস্ত লক্ষ্যবস্তু আপনার করায়ত্ব হবে, তা ঠিক করাই মূল উদ্দেশ্য।
আজ চারটি বিশেষ নিয়মের উল্লেখ করছিঃ
(ক) আজ আপনার আর্থিক পরিস্থিতি কেমন? অর্থাৎ, এই মুহূর্তে আপনার রোজগার এবং খরচের পরিমাণ কী রকম? কত টাকা ধারের পরিমাণ আছে? সে বাবদ আপনার লায়াবিলিটি কতখানি?
(খ) পরিস্থিতি বুঝে “গোলস” সেট করুন। নিজের সংসারের খরচ তো টানতেই হবে, এছাড়াও অন্যান্য খরচাপাতি থাকতে পারে। সে সবের কথা খেয়াল রেখে রিটায়ারমেন্ট, বিয়ে বা পড়ার খরচ (বাচ্চাদের কথা ভুললে হবে না) কেমন হবে, তা বোঝার চেষ্টা করুন।
(গ) নিজের ঝুঁকির মাপ বুঝুন। মানে, আপনি ঠিক কতখানি ঝুঁকি নিতে সক্ষমতা বোঝার চেষ্টা করুন। এর উপর নির্ভর করবে আপনার ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানিং। সেই রিস্কের কথা স্মরণে রেখে ঠিক প্রোডাক্টে বিনিয়োগ করা শুরু করুন।
(ঘ) নিজের প্ল্যান পরীক্ষা করুন নিয়মিত। প্রয়োজন বুঝে বদল করুন, প্ল্যানটিকে সজীব রাখুন।
এই নীতিগুলি মেনে চললে ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং অসম্ভব মনে হবে না। মনে রাখতে হবে, যথাযথ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, ইকুইটি, ডেট এবং অন্য বিনিয়োগের পন্থাগুলি বেছে নেবেন, সেই পাঠও নিতে হবে আপনাকে।