ঠিক কি কি বিষয় মাথায় রেখে সঞ্চয় করতে হবে তা জানেন কি?

ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা প্রয়োজন কিন্তু শুধু সঞ্চয় করলেই তো হবে না তা হতে হবে লক্ষণীয়। জানতে হবে লক্ষ্যটাও। কিছু কিছু ব্যপার মাথায় রেখে আমাদের সঞ্চয় করতে হবে। নিম্নে কিছু লক্ষ্যের তালিকা আছে যা খেয়াল রেখে কাজ করলে আমাদের সঞ্চয় করা সঠিক হবেঃ

  • আয় করছেন। আপনার বাবা-মা যেমন আপনার দেখাশোনা করেছেন, একটা সময় আসবেই যখন আপনাকেও হয়তো তাঁদের দেখাশোনা করতে হবে। সেই আর্থিক দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এখন থেকেই তৈরি হোতে হবে। এই দায়িত্ব কত দিন থাকবে বা কত দিন পর নিতে হবে, তা কিন্তু স্থির করা মুশকিল। তাই একটা দীর্ঘকালীন তহবিল তৈরি করতে প্রস্তুত হোন।
  • আপনি কি অবিবাহিত? বা বাড়িতে এমন কেউ আছেন, যাঁর বিয়ের দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে? তা হলে তা কত দিন পর হতে পারে এবং আনুমানিক কত খরচ হতে পারে, সেই হিসাব করে সেই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তৈরি হোন এখন থেকেই।
  • শিক্ষার খরচ আজকের দিনে অনেক। সন্তানের বয়স কত? অথবা হয়তো সন্তান নিতে চাচ্ছেন। তার শিক্ষার জন্য কিন্তু যত তাড়াতাড়ি পারেন তহবিল তৈরিতে নেমে পড়া ভাল। না হলে পরে গিয়ে চাপ বাড়বে।
  • বাড়ি বা ফ্ল্যাট করতে হবে। কিন্তু তার জন্য কতটা ঋণ এবং কতটা নিজের পকেট থেকে খরচ করবেন, তার হিসাব করেননি! এতে কিন্তু সমস্যা হবে আপনারই। ঋণ নিলেও পকেট থেকে অনেক টাকা দিতে হবে তার জন্য প্রস্তুত হোন এখনই।
  • অবসর! সঞ্চয়ের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ, যা নিয়ে আমরা সময় থাকতে খুব কমই ভাবি। কিন্তু এটাই আপনার সঞ্চয়ের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত। অবসরের পরে আপনার সংসার চালানোর খরচ দেওয়ার জন্য অন্য কেউ এগিয়ে না-ও আসতে পারে। তাই অন্যের ভরসায় না থেকে নিজের ব্যবস্থা নিজেই করুন।

সঞ্চয়ের প্রাথমিক কিছু লক্ষ্যের কথা বলা হল এখানে। এ ভাবেই খাতা-পেন্সিল নিয়ে আয়-ব্যয়ের নয়, আয় ধরে সঞ্চয়ের লক্ষ্য স্থির করুন। কত দিন পর সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হবে, সেই সময়ের হিসাব ধরে সঞ্চয় করতে শুরু করুন। লক্ষ্য যত দূরে, রিটার্ন তত বেশি। আর তাই দু’বছর বাদে ২ লক্ষ টাকা পেতে যে টাকা মাসে এখন জমাতে হবে, ২০ বছর বাদে ২ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করতে তার থেকে অনেক কম টাকা লাগবে। তাই মাথায় রাখুন সময় মেপে রিটার্ন আর কত টাকা আপনার লক্ষ্য। মাথায় রাখবেন মুদ্রাস্ফীতির অঙ্কটাও।

 

এইচআই /