ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে মুনাফার হার কত?

প্রবাসীদের সঞ্চয় ও বিনিয়োগের জন্য একটি অসাধারণ ইনস্ট্রুমেন্ট হচ্ছে- ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড। এই বন্ড একদিকে নিরাপদ, অন্যদিকে এর মুনাফার হারও অনেক বেশি। বাংলাদেশ সরকার এই বন্ড চালু করেছে বলে এতে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই। অন্যদিকে এই বন্ডের মুনাফা ব্যাংক আমানতের সুদ বা মুনাফার অনেক বেশি। এমন কি কোনো কোনো ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্রের চেয়েও বেশি মুনাফা পাওয়া যায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড থেকে।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের মূল্যের বিপরীতে সরকারকে যে টাকা দিতে হয়, ওই টাকা সরকার প্রবাসীদের কাছ থেকে এক প্রকার ঋণ হিসেবে নেয়। আর এই ঋণের বিপরীতে ক্রেতাকে আসলে সাথে মুনাফাও ফেরত দেওয়া হয়। তাই বেশি ঋণ নিলে তা পরিশোধের চাপ বেড়ে যায়। এ কারণে সরকার একদিকে চায় প্রবাসীরা এই বন্ড কিনে লাভবান হোক, অন্যদিকে বেশি বন্ড বিক্রি করে সরকার যেন বেশি চাপে না পড়ে। বেশি বন্ড কেনাকে নিরুৎসাহিত করতে সরকার এর পরিমাণের সাথে মুনাফার আলাদা আলাদা হার নির্ধারণ করে দিয়েছে। একটি নির্দিষ্ট সীমার পর বন্ডের পরিমাণ যত বাড়বে, তত কমতে থাকবে মুনাফার হার।

বিভিন্ন অংকের ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনা যায়। এই বন্ডে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করার সুযোগ আছে। এর মধ্যে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সর্বোচ্চ মুনাফা পাওয়া যায়। এই অংকের বিনিয়োগ ৬ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত থাকলে ৮.৭০ শতাংশ, ১২ মাস থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত সময়ের জন্য ৯.৪৫ শতাংশ, ১৮ মাসের পরে ২৪ মাস পর্যন্ত ১০.২০ শতাংশ, ২৪ মাসের পর ৬০ মাসের আগে পর্যন্ত সময়ে ১১.২০ শতাংশ এবং মেয়াদ শেষে তথা ৬০ মাস পর ১২ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে ৫০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে সবচেয়ে কম মুনাফা পাওয়া যায়। এই পরিমাণ বিনিয়োগে মেয়াদ ভেদে সর্বনিম্ন ৬.৫৩ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে মুনাফার বিস্তারিত নিচের ছক থেকে জানা যাবে-