প্রাইজবন্ডের ড্রঃ সহজেই মিলিয়ে নিন আপনার নাম্বার

সঞ্চয় ও উপহার হিসেবে প্রাইজবন্ড দারুণ একটি প্রোডাক্ট। প্রতি মাসে নিয়মিত প্রাইজবন্ডের উপর লটারি হয়। আর এই ড্রতে থাকে লাখ লাখ টাকা পুরস্কার। কিন্তু নানা ব্যস্ততায় অনেকেই ড্র’র ফলাফল মেলাতে ভুলে যান। আবার দীর্ঘ নাম্বারের সিরিজ মেলাতে গিয়ে অনেকে বিরক্ত বোধ করেন। এ অবস্থা থেকে প্রাইবন্ডের ক্রেতাদের মুক্তি দিতে অনলাইন সেবা চালু করেছে অভ্যন্তরীন সম্পদ বিভাগ (Internal Resources Division-IRD)।

আইআরডির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রাইজবন্ডের ড্র’র জন্য নাম্বার মেলাতে হলে www.irdbd.online ঠিকানায় যেতে হবে। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২টি পদ্ধতিতে ফলাফল অনুসন্ধানের ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রথম পদ্ধতিতে ওয়েবপেজের বাম দিকে নিচে সংখ্যা লিখুন উইন্ডোতে ক্লিক করে প্রাইজবন্ডের নম্বরটি (সিরিজ ব্যতীত) বাংলায় অথবা ইংরেজিতে লিখে অনুসন্ধান করা যাবে।

গ্রাহকের কাছে একাধিক প্রাইজবন্ড থাকলে এই পদ্ধতিতে সেগুলোও সহজে মিলিয়ে নিতে পারবেন।  একাধিক নম্বর একসঙ্গে অনুসন্ধান করতে হলে নম্বরগুলোকে কমা (,) দিয়ে আলাদা করতে হবে। ধারাবাহিক (সিরিজ) নম্বর অনুসন্ধানের জন্য প্রথম ও শেষ সংখ্যার মাঝে হাইফেন (-) ব্যবহার করতে হবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ডের নম্বরগুলো (সিরিজ ব্যতীত) মাইক্রোসফট এক্সেল সিটের কলাম এ-তে ইংরেজিতে লিখে শেষ করতে হবে। এরপর ওয়েবপেজের বাম দিকে নিচে সংখ্যা আপলোড করুন উইন্ডোতে ক্লিক করে এক্সেল ফাইলটি আপলোড করতে হবে।

ওয়েবসাইটে অনুসন্ধানের তারিখ থেকে আগের ২ বছরের মধ্যে প্রকাশিত সব ফলাফলের বিপরীতে কোনো মিল পেলে তার ফলাফলের কপি দেখাবে।

প্রাইজবন্ড ক্রেতারা এই ওয়েবসাইট থেকে পুরস্কারের টাকা দাবি ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন এবং প্রাইজবন্ডের ড্র সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আমার টাকাকে  বলেন, ‘১ বছরে যে পরিমাণ পুরস্কারের টাকা ক্লেইম করার কথা, বাস্তবে দেখছি, সে পরিমাণ হচ্ছে না। অনেক টাকা আনক্লেইমড থেকে যাচ্ছে। কারণ প্রাইজবন্ডের ডিজিট সংখ্যা ৭টি। যার কারণে ড্রয়ের পরে মিলাতে অনেক সময় লাগে। তাই অনেকে মিলাতে চান না। আবার প্রাইজবন্ড ড্রয়ের তারিখটি অনেকেই ভুলে যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ওয়েব সফটওয়্যারের মাধ্যমে কারও কাছে যদি ৫ হাজার প্রাইজবন্ড থাকে, তিনিও ১ মিনিটের মাধ্যমেই জানতে পারবেন কোনো পুরস্কার জিতেছেন কি না। এই সফটওয়্যারটি তৈরির জন্য গত ১ বছর ধরেই চেষ্টা চলছিল। অবশেষে এর চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি। আশা করছি এই সফটওয়্যার ক্রেতাদের প্রকৃত অর্থেই কাজে লাগবে।’