নিয়ম ভাঙলেই ৬ মাসের জেল

নিজের টাকার সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা মূলত জাতীয় সঞ্চয়পত্রে টাকা সঞ্চয় করে থাকি তার জন্য আমাদের কিছু নিয়ন শৃঙ্খল মেনে টাকা রাখতে হয়। কিন্তু কিছু মানুষ সেই জায়গায়ও মিথ্যার আশ্রয় নেয়। যার কারনে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মখীন হতে হয়।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতীয় সঞ্চয়পত্র কিনলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘সরকারি ঋণ বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগের বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই,বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

১৯৪৪ সালের এ-সংক্রান্ত আইনটি বাতিল করে সরকারের ঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আরও আধুনিক করার লক্ষ্যে আইনটি করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে,বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ঘাটতি অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সরকার দেশীয় বা বৈদেশিক উৎস থেকে দেশীয় বা বৈদেশিক মুদ্রায় সুদযুক্ত বা মুনাফাযুক্ত বা সুদমুক্ত বা মুনাফামুক্ত যেকোনো ধরনের ঋণ বা বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে পারবে। সরকারের পক্ষে অর্থ বিভাগ,অর্থ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি বা এ ধরনের নিশ্চয়তা প্রদানসংক্রান্ত কাউন্টার গ্যারান্টি দিতে পারবে।

বিলে বলা হয়েছে,কোনো ব্যক্তি নিজের বা কারও পক্ষে সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যু করা সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের জন্য মিথ্যা তথ্য দিলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের জেল বা সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা হবে। বর্তমান আইনে কোনো জরিমানা সুনির্দিষ্ট করা ছিল না।

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত মিথ্যা তথ্যসম্পর্কিত সংঘটিত অপরাধ আমলে নিতে পারবেন না। কোনো সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের সার্টিফিকেটের মেয়াদ পূর্তির পর আসল ও মুনাফা দিয়ে দেওয়া হলে এ বিষয়ে সরকারের আর কোনো দায় থাকবে না।

আমাদের উচিত আমরা যথাযথ সঠিক তথ্য দিয়ে সকল ধরনের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে তারপর আমাদের টাকা রাখবো এতে করে আমরা জনগন ও সরকার উভয়ই নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো।

এইচএআই